পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুবিধার্থে ঈশ্বরদীর রূপপুরে রুশ বাসিন্দাদের যাতায়াত এখন নিয়মিত। ফলে রূপপুর হয়ে উঠেছে ‘রূষপুর’। রাস্তা, দোকান, লজ-খাওয়ার জায়গা এবং সেলুন সর্বত্র যেখানে রাশিয়ানদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। দোকানের নাম এবং সাইনবোর্ড সবই রাশিয়ান ভাষায়।


রাশানদের উপস্থিতিতে সরগরম রূপপুর, স্থানীয়রাও শিখে গেছেন রুশ ভাষা


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রায় 5,500 বিদেশী, যেমন রাশিয়ানরা কাজ করছে। থাকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে চিত্তবিনোদন সবকিছুই সেখানে সাজানো হয়েছে। যেন রাশিয়ানরা এই অঞ্চলের বাজার ও রাস্তায় সবকিছুর সাথে মিশে গেছে। এমনকি রাশিয়ানরা বাজার থেকে কেনাকাটা করার জন্য একটি ভাল বাই চার্জে খুঁজে পেয়েছে।



কেনার পরে, একজন রাশিয়ান মহিলা বলেছিলেন যে শেষ ফলাফল এবং শাকসবজি রাশিয়ায় খুব বেশি দামে। তাই আমি এখান থেকে সর্বোচ্চ সময় বাঁচাই।



রাশিয়া-ইউক্রেন লড়াই সত্ত্বেও, প্রতিটি দেশের অনেক বাসিন্দা এখানে এক ছাদের নীচে ছুটছেন। এছাড়া বেলারুশসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্থানের লোকজন ছুটছেন রূপপুরে। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, যুদ্ধ শুরু হলে বিক্রি কিছুটা কমে যায়। ব্যবসায়ীরা জানান, লড়াইয়ের কারণে আয় সবে কমেছে।


রাশানদের উপস্থিতিতে সরগরম রূপপুর, স্থানীয়রাও শিখে গেছেন রুশ ভাষা
Source: bdnews24.com



যেহেতু ক্রেতারা প্রায়শই রাশিয়ান, দোকানদাররাও রাশিয়ান ভাষা শিখেছে। কিন্তু এ ভাষা পরীক্ষা করার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেই। তারা বলেছে, আমি রাশিয়ানদের সাথে কথা বলার মাধ্যমে ভাষা শিখেছি। তাদের সাথে কথা বলা এখন অনেক সুবিধাজনক।



কাজের সময় শেষ করে, তারা রাতের বেলা কেনাকাটা এবং চ্যাট করতে ফিরে আসে। সেক্ষেত্রে, বাংলাদেশি খাবার, বিশেষ করে বিরিয়ানি, তাদের পছন্দের শীর্ষে রাশানদের মন জয় করেছে। একজন রাশিয়ান নাগরিক বলেছেন যে তিনি ভাত এবং বিরিয়ানি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। দোকানিরা জানিয়েছেন যে রাশান মাংসের খাবার পছন্দ করে। চাকরি শেষে এদেশ থেকে চলে গেলেও রাশিয়ানরা বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতার কথা ভুলবে না।